![]() |
হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্কুলছাত্র উদ্ধার ? |
বরগুনার পাথরঘাটায় আরিফুল ইসলাম (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার রাত আটটার দিকে পাথরঘাটার পৌর এলাকার বেরিবাঁধ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ছাত্রের বুকে ব্লেড দিয়ে আঁচড়ের দাগ থাকলেও তেমন কোনো ক্ষত হয়নি। এর আগে ওই দিন বেলা দুইটার দিকে বরগুনা রংধনু ক্লিনিকের সামনে থেকে রুমাল নাকে চেপে তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত কয়েকজন।
উদ্ধার হওয়া ওই স্কুলছাত্র বরগুনার সদর উপজেলার জাকিরতবক এলাকার আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে। সে বরগুনা উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্কুল ছুটির পরে বরগুনা সদরের নুর লাইব্রেরিতে গাইড কিনতে যায় সে। সেখানে গিয়ে দোকান বন্ধ পেয়ে বাসায় ফিরে যাওয়ার পথে কিছু অপরিচিত লোক তার পিছু নেয়। রংধনু ক্লিনিকের সামনে থেকে আসার সময় তার মুখে রুমাল ধরে অজ্ঞান করে একটি লাল মোটরসাইকেলে ওঠায় বলে মনে পড়ে তার। এরপর জ্ঞান ফিরেলে তিনি নদীর পাড়ে একটি ভাঙা নৌকায় হাত-পা বাঁধা ও মুখে টেপ দিয়ে আটকানো অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করে।
আরিফুল ইসলামের মা রিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বরগুনার উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের বাসায় থেকে লেখাপড়া করে। শনিবার বাড়ি থেকে স্কুলে গিয়ে ক্লাস শেষে প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের বাসায় যায়। সেখান থেকে গাইড কিনতে বের হয়ে বাসায় ফিরে না যাওয়ার বিষয়টি প্রধান শিক্ষক আমাকে জানালে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। পরে রাত সাড়ে দশটার দিকে পাথরঘাটা থানা থেকে আরিফুল উদ্ধার হওয়ার কথা জানতে পারি।’
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত আটটার দিকে বেরিবাঁধ এলাকার স্থানীয়রা সংবাদ দিলে সেখান থেকে আরিফকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রের বুকে ব্লেড দিয়ে আঁচড়ের দাগ রয়েছে।
তিনি জানান, স্কুল ছাত্রকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Post a Comment