সুইজারল্যান্ডে জিয়া পরিবারের অর্থ পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস; বিএনপিতে ক্ষোভ
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে যে বাংলাদেশীদের টাকা পাওয়া গেছে, তার বেশিরভাগই গেছে সিঙ্গাপুর থেকে। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত এক বছরে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার তিনশ কোটি টাকা সুইজারল্যান্ডের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে ওই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে প্রথমে গেছে সিঙ্গাপুরে। সিঙ্গাপুর হয়ে পরবর্তীতে গেছে সুইস ব্যাংকে।
জানা যায়, ওই টাকার বড় অংশই অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে গেছে। অক্টোবর মাসেই ১৩০ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। সেখান থেকে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সুইস ব্যাংকে জমা পড়েছে সেগুলো।
তারেক জিয়ার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান, তার মেয়ে জাইমা রহমান এবং কোকোর স্ত্রী শর্মীলা রহমান এই তিনজনেরই সিঙ্গাপুরে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সিঙ্গাপুরে তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। শপিং মলসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অংশীদার তারা। সবাই আন্তর্জাতিক মানের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেনা কাটা করে আয়েশী জীবন উপভোগ করছেন।
জানা যায়, ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে পাচার হয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা সারা বছরব্যাপী সুইস ব্যাংকে জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১২৫ থেকে ১৩০ কোটি টাকা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের যা বাংলাদেশে আসেই নি। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বৈধ পথেই গেছে সেগুলো।
অন্যদিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিএনপি নেতা মোরশেদ খানের সিঙ্গাপুরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। আবদুল আউয়াল মিন্টুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকাউন্ট থেকে সিঙ্গাপুরের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে প্রায় শতাধিক কোটি টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদের একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনের সময় তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের যে অভিযোগ ছিল সুইস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যাবতীয় খরচ নির্বাহ করাই তার প্রমাণ। আমরা দেশে থেকে জেল মামলায় জর্জরিত সেখানে মনোনয়ন বাণিজ্য করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন তারেক জিয়া। যা খুবই দুঃখজনক বলে জানান তিনি।